ক্ষমা নিয়ে হাদিস Khoma Niye Hadis

 আস-সালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু" আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের ওয়েবসাইটে এরকম আরো অনেক হাদিস আছে আমরা সব সময় হাদিস বিষয়ে পোস্ট করে থাকি আমাদের হাদিসগুলো পড়ে ভালো লাগলে আমাদের ওয়েবসাইটে আরো পোস্ট আছে সেগুলো পড়ুন আপনার সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

শিক্ষামূলক ছোট হাদিস



ধৈর্য নিয়ে হাদিস

আসসালামু আলাইকুম    
           ওয়ারাহমাতুল্লাহ
যেসব কর্মকাণ্ডের কারণে রোজা ভাঙেনা ,অথবা ভেঙ্গে গেলে ও রোজার কাজা করতে হয়, কাফফারা দিতে হয় না।

     👉যেইসব কারণে রোজা ভাঙেনা 

(১) চোখে ঔষধ সুরর্মা ইত্যাদি কোন কিছু লাগালে রোজার কোন ক্ষতি হয় না, বা রোজা ভাঙ্গে না।

(২) সেহরি খাওয়ার পূর্বে স্ত্রী সহবাস করলে অথবা স্বপ্নদোষ হলে সুবহে সাদেকের পূর্বে অথবা সূর্য উঠার আগে যদি কেউ গোসল না করে বা সূর্য ওঠার পরে গোসল করে তবুও রোজার কোন ক্ষতি হবে না বা রোজা ভাঙবে না। তবে রোজা অবস্থায় দীর্ঘ সময় নাপাক শরীরে না থাকাই উত্তম।

(৩) স্ত্রীকে চুমু খেলে রোজার কোন ক্ষতি হবে না যদি বীর্যপাত ঘটা বা সব আসে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা না থাকে তবে কাম ভাবের সাথে চুমু খাওয়া যাবেনা অর্থাৎ আসক্তির সাথে চুমু খাওয়া যাবেনা এজন্য সবচেয়ে উত্তম হলো রোজা থেকে স্ত্রীদেরকে চুমু না খাওয়া। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর মোল্লা আনাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে ছিলাম , ইতিমধ্যে একজন যুবক এলো এবং নবীকে প্রশ্ন করল,
হে নবী ? আমি কি রোজা থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করতে পারি? কারীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বললেন
না করতে পারো না। এরপর আরেকজন বৃদ্ধ ব্যক্তি এসে সেই প্রশ্নটাই করলো, এবং নবী করীম সাঃ বললেন হ্যাঁ করতে পারবা। এই কথা শুনে সবাই একে অপরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, তখন নবী করীম সাঃ বললেন, আমি জানি তোমরা কেন একে অপরের দিকে তাকাচ্ছ , তোমরা স্ত্রীকে চুম্বন করতে পারবো না কারণ একটাই তাহলে তোমরা নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারবেনা। সে যেহেতু বৃদ্ধ তাই সে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারবে এজন্যই বলা হয়েছে।

(৪) রোজা থাকা অবস্থায় ভুলবশত কোন কিছু খেয়ে ফেললে অথবা পান করে ফেললে রোজার কোন ক্ষতি হবে না তবে তাৎক্ষণাৎ সেটা ভক্ষণ অথবা পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
(৫) রোজা অবস্থায় পায়ের নখ হাতের নখ চুল এগুলো কাটলেও রোজার কোন ক্ষতি হবে না, বা রোজা ভাঙবে না।

    👉যেসব কারণে রোজা ভেঙে গেলেও রোজার কাজা করলেই হবে, কাফফারা ,দিতে হবে না

(1) রোজা রাখা অবস্থায় ভুলবশত কোন কিছু খাওয়া অথবা পান করার পর রোজা নষ্ট হয়ে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃতভাবে পুনরায় কোন কিছু খাইলে অথবা পান করলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে এবং সেই রোজার কাজা করতে হবে কাফফারা দিতে হবে না।

(2) অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি হওয়ার কারণে রোজা নষ্ট হয়ে গেছে ভেবে পুনরায় আবার কোন কিছু পান করলে বা রোজা ভেঙে ফেললে সে রোজার কাজা করতে হবে কাফফারা দিতে হবে না।

(3) সেহরির সময় আছে ভেবে সেহরি খাওয়ার পর যদি জানতে পারে যখন সেহরি খেয়েছে তখন সেহরীর সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল তাহলে অথবা ইফতারের সময় হয়েছে এই কথা ভেবে যদি কেউ ইফতারের পূর্বে ইফতার করে ফেলে তাহলে তাকে পুনরায় ওই রোজা কাজা করতে হবে, কাফফারা দিতে হবে না।
এমনি সেহরীর সময় যদি কেউ এটা ভাবে যে এখনো সেহরির সময় আছে আর এই ভেবে স্ত্রী সঙ্গম করে আর তখন সেহরীর সময় শেষ হয়ে যায় তাহলে তাকে সে রোজার কাজা করতে হবে।

(4) আপনাকে ওষুধ বা পানি দিলে তা যদি গলার ভিতরে চলে যায় তাহলে রোজা ভেঙে যাবে, এবং সেই রোজার কাজা করতে হবে কাফফারা দিতে হবে না।

(5) মলদ্বারের ভেতর ওষুধ বা পানি ইত্যাদি যে কোন জিনিস প্রবেশ করালে রোজা ভেঙে যাবে এবং সেই রোজার কাফফারা করতে হবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন শরীর থেকে কোন কিছু বের হলে যেমন অজু করতে হয় তেমনি রোজার ক্ষেত্রে উল্টো শরীরের ভিতরে কোন কিছু প্রবেশ করালে রোজা ভেঙে যাবে এবং সে রোজার কাজা ও করতে হবে।

(6) পেটের এমন কোন ক্ষতস্থানে ওষুধ লাগানো যার ফলে সে ওষুধ পেটের ভিতরে চলে যাবে বা চলে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে রোজা ভেঙ্গে যাবে আর যদি সেই ঔষুধ অতি প্রয়োজনীয়তা মনে করে ব্যবহার করতে হয় ,তাহলে সে রোজার কাজ করতে হবে কাফরা দিতে হবে না।

(7) কারো যদি রোজা থাকা অবস্থায় অথবা রোজা রাখা অবস্থায় হায়েজ (মাসিক) অথবা নেফাজ (বাচ্চা হওয়ার পর রক্ত বের হওয়া, যা সাধারণত ৪০ দিন থাকে) শুরু হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে সেই রোজা ভেঙে যাবে এবং সেই রোজার কাজা করতে হবে কাফফারা দিতে হবে না

(8) দাঁত থেকে রক্ত বের হওয়ার পরে যদি তা থুথুর সঙ্গে পেটের ভিতরে চলে যায় আর সে রক্তের পরিমাণ যদি থুথুর চেয়ে বেশি হয় তাহলে রোজা ভেঙে যাবে এবং সেই রোজার কাজা করতে হবে। কাফফারা দিতে হবে না।

(9) এমন বস্তু যা আহার যোগ্য নয় বা খাদ্যের কোন উপকারে আসবে না বা আসেনা তাও যদি কেউ খেয়ে ফেলে তাহলেও রোজা ভেঙে যাবে এবং সেই রোজার কাজা করতে হবে না।
(10) অজু বা গোসলের সময় রোজার কথা স্মরণ থাকা অবস্থায় যদি অনিচ্ছাকৃতভাবেও গলার ভিতরে পানি চলে যায় তাহলেও রোজা ভেঙে যাবে এবং সেই রোজার কাজা করতে হবে কাফফারা দিতে হবে না।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url