রমজানের রোজা কত হিজরীতে ফরজ হয় Romajaner roja koto hijrite foroj hoy
রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার মূল ঘটন
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ ,নাহমাদুহু ওয়া
নুসাল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম আম্মা বাদ,প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা এই রমজানের রোজা শুধু আমাদের উপরে ফরজ? নাকি আমাদের পূর্বে নবী রাসুল যারা ছিলেন তাদের উপর ও ফরজ ছিল, প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা এই রমজানের রোজা আমাদের উপর অর্থাৎ উম্মতি মুহাম্মদ এর উপর সরাসরি ফরজ হয় নাই, এই রমজান কে আল্লাহপাক আমাদের উপর পর্যায়ক্রমে চারটি ধাপে ফরজ করেছেন,
রমজানের রোজা
(1)প্রথম ধাপ হলো অভ্যাস,আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর বর্ণনা, আন্নান নাবিয়্যা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, কানাইয়া সুমু সালা ছাতা আই ইয়ামিন মিন কুল্লি সাহারিন।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক মাসে তিনটি রোজা রাখতেন, আর এই আমল দেখে সাহাবায়ে কেরাম ও রোজা রাখতেন
আর এভাবেই নবীজির আমলের মাধ্যমে নবীজির উম্মতের ওপর অর্থাৎ আমাদের উপর আল্লাহপাক রোজা রাখার অভ্যাস করাইলেন, আর তখনো রমজানের রোজা ফরজ ছিল না
আর এটাই হল প্রথম ধাপ
(2) দ্বিতীয় ধাপে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উম্মাতি মুহাম্মাদীর উপর অনেকগুলো রোজা ফরজ না করে, আল্লাহ একটি রোজা ফরজ করেছেন,আর সেটা হলো মহররমের দশ তারিখের রোজা, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর বর্ণনা বুখারী শরীফের বর্ণনা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় গেলেন এবং সেখানে দেখলেন যে, ইহুদীরা মহররমের দশ তারিখ আশুরার রোজা রাখেন , নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কে প্রশ্ন করলেন মা হাযা? এটা কি?
তারা জবাব দিলো এটা একটা সম্মানিত দিন,আর এটা এমন একটা দিন যেই দিনে আল্লাহ বনী ইসরাইলকে তাদের শত্রু ফেরাউন বাহিনী থেকে মুক্তি দান করেছেন,
তাই শুকরিয়া আদায় করার জন্য এই দিনে মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোজা রেখেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন ও, তাই তোমরা ও রাখো?তারা জবাব দিলো জী তাই আমরাও রাখি।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জবাব দিলেন
আনা আহাককু বি মুসা মিনকুম(অর্থাৎ তোমাদের চাইতে আমি মুসা নবীর বেশি কাছাকাছি)
তাই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহররমের দশ তারিখে রোজা রাখলেন, এবং সাহাবায়ে কেরাম দের কে ও মহররমের দশ তারিখে রোজা রাখার আদেশ করলেন
আর তখন থেকেই সাহাবায়ে কেরাম দের উপর মহররমের দশ তারিখের রোজা রাখা ফরজ হয়ে গেল,
আর এটা হলো রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগের ঘটনা,
তার মানে কিন্তু এই নয় যে এখনো দশ তারিখের রোজা ফরজ
আর এটা হলো দ্বিতীয় ধাপ।
(3) তৃতীয় ধাপ হলো,সূরায়ে বাকারার 183 নং আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন
রমজানের রোজার ফজিলত
কিন্তু এই তৃতীয় ধাপে ও একটু ছাড় আছে,আর সেই ছাড় টা হলো
আল্লাহ পাক বলেন,যারা রোজা না রেখে মিসকিন দের কে টাকা দেওয়ার অথবা মিসকিন দের কে খাওয়ানোর সামর্থ্য রাখে ফিদিয়া হিসেবে খাওয়াবে ।
তাহলে তৃতীয় ধাপে রোজা রাখা ফরজ হলেও কিন্তু আল্লাহ ছাড় দিয়েছেন, আবার অপশন দিয়ে ছিলেন যে, তোমরা যারা রোজা না রেখে গরিব মিসকিনদের কে খাওয়ানোর সামর্থ্য রাখ, তাদের, গরিব মিসকিনদের কে খাওয়ানোর চেয়ে রোজা রাখাই উত্তম। তাহলে তৃতীয় ধাপে অবশন দিলেন যে রোজা রাখতে ও পার অথবা মিসকিন দের কে খাওয়াতে ও পার,আর এটাই হলো তৃতীয় ধাপ।
(4) চতুর্থ ধাপ হলো , আল্লাহ পাক বলেন, অর্থ (রমজান মাস যেই মাসে কোরআন নাজিল করা হয়েছে)।
এই আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন
শোনো তোমরা যারা রমজান মাস পেয়ে যাও যারা সুস্থ বালেগ জ্ঞানী, সামর্থ্য বান,বা সামর্থ্য বান ছাড়া সবাইকে রোজা রাখতে হবে।
আর এই আয়াতের / কথার দ্বারা আগের সব হুকুম রহিত হয়ে যায়, অর্থাৎ আগের সব হুকুম কেন সেল হয়ে যায়
আর
নতুন নিয়ম চালু হয়।
রমজানের রোজার গুরুত্ব
তাহলে (1) নং হলো অভ্যাসের মাধ্যমে
(2) মহররমের দশ তারিখের রোজা রাখার আদেশ করার মাধ্যমে।
(3) রোজা রাখা ফরজ কিন্তু ছাড় দেওয়ার মাধ্যমে
(4) আম/সাধারণ ভাবে সবার উপরে ফরজ করা হয়েছে
যারা সুস্থ বালেগ জ্ঞানী।
রমজানের রোজা কত হিজরীতে ফরজ হয়
নোটিশ ঃ আমাদের এরকম হাদিস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের পোস্টগুলো ঘুরে দেখে আসুন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে পোস্টটা পড়ার জন্য
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url