রোজার হাদিস সমুহ-Rojar Hahis Sumoho

 আস-সালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু" আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের ওয়েবসাইটে এরকম আরো অনেক হাদিস আছে আমরা সব সময় হাদিস বিষয়ে পোস্ট করে থাকি আমাদের হাদিসগুলো পড়ে ভালো লাগলে আমাদের ওয়েবসাইটে আরো পোস্ট আছে সেগুলো পড়ুন আপনার সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ


রোজার হাদিস সমুহ

রমজান মাসের 20 টি কমন ভুল

(1) শাবান মাসের শেষের তারিখ    অর্থাৎ 29 শাবান পশ্চিম আকাশে চাঁদ   দেখা /চাঁদ তালাশ করা সুন্নাত,আর    চাঁদ দেখার পর চাঁদ দেখার দোয়াটা ও পড়া সুন্নাত , 

দোয়াটি হলো এই যেএইযে

اللهم اهله علينا باليمن والايمان والسلامه والاسلام ربي وربك الله

বাংলা উচ্চারণ, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল ইউমনি ওয়াল ঈমান, ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলাম, রব্বি ও রব্বুকাল্লাহ।

অর্থ হে আল্লাহ আমাদের চাঁদ কে বরকতময়, ঈমান,নিরাপত্তা,ও শান্তির বহন করে উদিত করো। হে নতুন চাঁদ আল্লাহতায়ালা আমারও প্রভু, তোমারও প্রভু।

           (তিরমিজি শরীফ ৩৪৫১)

কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো আমরা এখন আর পশ্চিম আকাশে চার তালাশ করিনা বা চাঁদ খুঁজি না একসময় আমরা দেখতাম আমাদের পূর্ব শরির যারা ছিলেন তারা অনেক আনন্দ শহীদ প্রকাশের চাঁদ এবং চাঁদ দেখতেন কিন্তু এখন আমরা আর তা করি না এখন আমরা শুধুমাত্র ফেসবুক ইউটিউব সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকি কেউ যদি চাঁদ দেখার পরে চাঁদ দেখার দোয়া পড়ে তাহলে সে যেসব পাবে আর আরেকজন যদি অনেক চেষ্টা করার পরেও চাঁদ দেখতে না পায় তাহলে সেও সওয়াব পাবে এজন্য আমাদের উচিত অন্তত চাঁদ তালাশ করা যাতে করে চাঁদ দেখার সওয়াব পাওয়া যায়

চাঁদ দেখাও চাঁদ দেখে দোয়া পড়া দুটোই সুন্নাত

(2) রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে আমরা অনেক সময় ভুল প্রস্তুতি নিয়ে ফেলি যেমন, অনেক বেশি পরিমাণে খাবার দাবার কিনে মওযুদ রাখা,



রমজানের ছোট ছোট হাদিস

এটা রমজানের যথাযথ প্রস্তুতি নয় বরংচ এ বিষয়ে পরিবারের সবার সাথে আলোচনা করে রমজানের একটি মাস কিভাবে এবাদতের মাধ্যমে কাটানো যায় এই চিন্তা ফিকের করা, কারণ এই রমজান মাসটা সুতো শুধু একটা এবাদতের মাস আর এই মাস তো বছরে শুধু একবারই আসে সারা বছর আমরা আমাদের ইচ্ছা মতো খানাপিনা করি একটা মাস অতিরিক্ত খাবার না হয় নাই খাইলাম, এবং বেশি খাওয়ার মাধ্যমে যেন আমার ইবাদতের মধ্যে কোন ক্ষতি না হয় সেই খেয়াল রাখা, অন্য যে কোন মাসের চাইতে রমজান মাসে আমরা অতিরিক্ত খাবার দাবার বেশি ক্রয় করে থাকি এগুলো থেকে বিরত থাকবো, এবং রমজানের যথাযথ হক আদায় করার চেষ্টা করব।

(3) আরেকটি কমন ভুল আমরা করে থাকি আর সেটা হল ছোট ছোট বাচ্চা যারা রোজা রাখতে ইচ্ছুক রোজা থাকতে চায় তাদেরকে রোজা থাকতে না দেওয়া রোজা থাকতে নিষেধ করা এটা একটা বিশাল বড় ভুল যদিও তাদের উপর রোজা ফরজ হয়নাই কিন্তু তাদেরকে রোজা রাখার জন্য উৎসাহ করা উৎসাহ দেওয়া এটা আমাদের একটা ঈমানী দায়িত্ব ।

এতে বাচ্চাদের অন্তরে আল্লাহর ভালোবাসা আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হবে যার ফলে ভবিষ্যতে তার জীবন উজ্জ্বল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ছোট ছোট হাদিস পোস্ট

আর একটা বাচ্চার প্রথম শিক্ষক বা গুরু ,আমরা যেটাই বলি না কেন সেটা হলো বাবা এবং মা , তাই ছোট তেই যদি কোন বাচ্চা তার পিতা মাতার কাছ থেকে ভালো কিছু শিখতে না পারে জানতে না পারে তাহলে বড় হওয়ার পর তার সেগুলো মেনে নিতে একটু কষ্ট হয়ে যায় এজন্যই আমাদের ঈমানী দায়িত্ব হল বাচ্চাদেরকে কষ্ট বোঝানো যাতে করে বড় হওয়ার পর সেই বাচ্চাগুলোর বুঝতে সুবিধা হয়।

(4) আরেকটি ভুল হল ভোররাতে আমরা যখন সেহরি খাওয়ার জন্য উঠি সেহরি খাওয়ার পর আমরা মনে করি রোজার নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা লাগে এটা একটা ভুল ধারণা রোজার নিয়ত কখনোই মুখে উচ্চারণ করতে হবে না আর আমরা রোজার যে নিয়ত জানি 


ছোট ছোট হাদিসের বাণী

আর সবচেয়ে বড় কথা হলো আমরা যখন সেহরি খাওয়ার জন্য উঠি তখনই তো মনে মনে নিয়ত হয়ে গেছে যে,আমি রোজা রাখার জন্য সেহরি খাচ্ছি তাই না, তাহলে আমাদেরকে আবার মুখে উচ্চারণ করতে হবে কেন।

(5) আরেকটি  ভুল হলো শতকরা ৯০% মানুষ আমরা শুধু পেটের রোজা থাকি, বুঝতে হবে এই রোজাটা শুধু পেটের জন্য নয় এই রোজাটা আমাদের পুরো বডির জন্য পুরো শরীরের জন্য হাতের জন্য পায়ের জন্য চোখের জন্য সবকিছুর রোজা আছে , রোজাটা আমার পুরা বডির জন্য শুধু পেটের জন্য নয় এজন্য রোজা রেখে হাত পাও মুখ চোখ এগুলোকে সংযত রাখতে হবে চোখ দিয়ে কোন খারাপ কিছু দেখলে চোখের রোজা নষ্ট হবে মুখ দিয়ে খারাপ ভাষা উচ্চারণ করলে মুখের রোজা নষ্ট হবে প্রত্যেকটা জিনিসেরই সঠিক ব্যবহার করতে হবে না হলে রোজার পূর্ণ হক আদায় হবে না। আর একজন ব্যক্তি যখন সারাটা দিন রোজার পরিপূর্ণ হক আদায় করে রোজা রাখবে তার জন্য পুরষ্কার হল সে জান্নাতের রাইয়ান নামক গেট দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং এই রোজাদারের জন্য যতগুলো পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সবগুলো পুরস্কার উপস্থিত করা হবে।

(6) আমরা যে ভুল করে থাকি তাহলে রমজানে রোজা রেখে আমরা মেসওয়াক করিনা এটা একটা ভুল ধারণা করা সুন্নত যখন সম্ভব নসব করবেন কিন্তু রোজা রেখে ব্রাশ করা যাবে না কারণ ব্রাশে আমরা যে ওষুধ ভরাই পেস্ট ভরাই এগুলো তো একটা গন্ধ থাকে সেগুলো আমাদের পেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এজন্য আমরা ব্রাশ না করে মেসওয়াক করবো




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url