সন্তান জন্মের পর করণীয় - sontan jormer por koronio

সন্তান জন্মের পর করণীয় 

সন্তান জন্মের পর যে কাজগুলো বাধ্যতামূলক করতেই হবে

সালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।সম্মানিত দ্বীনি ভাই ও বোনেরা, সন্তান জন্মের পর যে কাজগুলো আমাদেরকে অবশ্যই করতে হবে তাহলে এই যে,



সন্তান জন্ম নেওয়ার সাথে সাথে : ডান কানে আযান,এবং বাম কানে একামত দিতে হবে। চাই সে সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে। আমরা অনেকেই ভুল করে থাকি,তাহলো এইযে ছেলে হলে আমরা আযান দেই।

আর মেয়ে হলে আযান দেই না ।

সন্তান জন্মের পর আযান দেওয়ার নিয়ম

নিয়ম হলো,ছেলে এবং মেয়ে দুজনের ক্ষেত্রেই আজান  : এবং একামত দিতে হবে আযান দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো তাকে আহবান করা যে,সে দুনিয়াতে আসছে , এবং তাকে জানানো যে আল্লাহ সবার বড়, ।

 তাহনিক করা : অর্থাৎ খেজুর বা ওই জাতীয় মিষ্টি কোন জিনিস চিবিয়ে বাচ্চার মুখে দেওয়া,ঠোঁটে লাগিয়ে দেওয়া। আর এই তাহনিকটা যদি কোন আলেম অথবা বুজুর্গ আল্লাওয়ালা লোক

 এর মাধ্যমে দেওয়া হয় তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়।

রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর যুগে তিনি বাচ্চাদেরকে জন্মের পর পরই খেজুর চিবিয়ে মুখে দিতেন।

 তাহনিক করার অনেক উপকারিতা রয়েছে:কারণ বাচ্চার নাভি কেটে দেওয়ার পর থেকে তার নিউট্রেশন কমে যায় আর এই কারণে তাহনিক করা অনেক জরুরী।কারণ তাহনিক করলে বাচ্চার নিউট্রেশন বা শক্তি বেড়ে যায়। এনার্জি বেড়ে যায়।

শুধু তাই নয় এখন চিকিৎসা বিজ্ঞানেও বলছে নবজাতক শিশুর মুখে যদি মধু অথবা খেজুর চিবিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সে বাচ্চা ব্রেইন

 হেমার থেকে বেঁচে যায়। ব্লাড সুগার লো হওয়া থেকে বেঁচে যায়। সুবহানাল্লাহ।


 সপ্তম দিনে আকিকা দেওয়া:

       এখানে অনেকেই ভুল করে থাকি যে ৭ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আকিকা দেয় অথচ নিয়ম হলো সপ্তম দিনে আকিকা দেওয়া অর্থাৎ বাচ্চা যেদিন জন্ম নেবে ঐদিন থেকে নিয়ে সাত দিনের মাথায় আকিকা দিতে

   হবে ।

(৪) আকিকা দেওয়ার পর পরই

কাজ হল বাচ্চার কোরআন এবং হাদিস থেকে সুন্দর অর্থবোধক নাম রেখে দেওয়া।

সপ্তম দিনে বাচ্চার মাথার চুল :

       হলক করা। অর্থাৎ মাথার চুল শেভ করা বা নাইরা করা।

এরপর সে চুলগুলো ওজন দিয়ে ওই ওজন পরিমাণ রুপা/সম পরিমাণ টাকা দান সদকা করে দেওয়া। আর এর উপকারিতা হল বাচ্চা কে আল্লাহ পাক যাবতীয় বালা মুসিবত থেকে হেফাজতে রাখবেন।

তবে যদি সপ্তম দিনে চুল হলক করার বিষয়ে,অভিজ্ঞ ডাক্তার বলে যে,

 না মাথা এখনো শক্ত হয় নাই তাহলে

 চুল হলক করতে হবে না। যখন মাথা শক্ত হবে তখন চুল হলক করে সেই সম পরিমাণ রুপা/টাকা দান করে দিলেই হবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: বাচ্চার সুন্দর নাম রাখা। বাচ্চার আকিকা দেওয়ার। বাচ্চার তাহলিক করা। ও বাচ্চার চুল হলক করানো। এ বিষয়গুলো পিতা-মাতার অনেক গুরুত্ব দিতে হবে।

বিশেষ করে নাম রাখার ক্ষেত্রে : আর এই নাম রাখার একমাত্র অধিকার রাখেন, বাচ্চার বাবা ও মা। এরপর দাদা-দাদী নানা নানী আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী।

যদি নাম রাখার ক্ষেত্রে পিতা-মাতা নামের অর্থ না জানেন ভালো নাম খুঁজে না পান তাহলে যার মধ্যে দিনের বুঝ আছে কুরআন এবং হাদিসের জ্ঞান আছে তার কাছ থেকে সুন্দর অর্থবোধক নাম সাজেস্ট করে রাখতে পারবেন।

প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা ইসলামিক যে কোন বিষয়ে জানতে হলে 

আমাদের ওয়েবসাইটটিতে অবশ্যই ভিজিট করবেন ।

কারণ একমাত্র আমরাই ১০০% কোরআন ও হাদিস যে কোন বিষয়ের তথ্য তুলে ধরি ইনশাআল্লাহ।


আল্লাহ পাক আমাদেরকে সন্তান জন্মের পর এ কাজগুলো সঠিকভাবে আদায়  🤲

করার তৌফিক দান করেন আমি


আমল সমূহ

রমজান মাসের আমল সমূহ
 যে সকল আমল করলে অফুরন্ত
                     সওয়াব।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
সম্মানিত দ্বীনি ভাই ও বোনেরা রমজান মাসের আমলসমূহের মধ্যে যে পাঁচটি আমল কোরআন ও হাদিসের মধ্যে পাওয়া গেছে,
তার মধ্যে
  এক নাম্বার হল : রমজান মাসের সাথে সম্পর্ক যার সবচেয়ে বেশি,
 সেটা হলো কোরআনে কারিম।
যেমন شهر رمضان الذي انزل فيه القران
রমজান মাস এটা হল কোরআন নাজিলের মাস
সুতরাং রমজান আসলে যেন আমরা কোরআনের সাথে সম্পর্ক বাড়িয়ে দেই অন্য মাসে যদি ব্যস্ততার কারণে সময় দিতে না পারি তাহলে অবশ্যই রমজান মাসে একটু হলেও সময় বের করে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করব ,আর কোরআন তেলাওয়াত এটাও একটা বিশাল বড় জিকির।
আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে নবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন 
فإذا فرغت فانصب والى ربك فارغب
অর্থ,আপনি (হে নবী!)যখন কর্মব্যস্ততা কাটিয়ে একটু ফ্রি হবেন,
তখন অবশ্যই আমি আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করবেন।।
আর আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করার সবচাইতে বড় মাধ্যম হলো কোরআন। 
আর কোরআন তেলাওয়াত করা মানে আল্লাহর সাথে কথা বলা,
আর এই রমজানে আমরা যত বেশি কোরআন তেলাওয়াত করব আল্লাহর সাথে তত বেশি কথা বলা হবে আর আল্লাহর সাথে যত বেশি কথা বলব আল্লাহ পাক তত বেশি খুশি হবেন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন।

দুই নাম্বার হলো,
      রমজান মাসে কিয়ামুল লাইল করা।
কিয়ামুল হলের ভিতরে দুইটা বিষয় আমরা পেয়েছি
এক নাম্বার হল তারাবি
২,দুই নাম্বার তাহাজ্জুদের নামাজ।
বিশ্বনবী সারা জীবন তাহাজ্জুদের নামাজ ৮ রাকাত পড়তেন।
হযরত ওমর রাঃ এর জামানা থেকে মক্কা মদিনা সহ বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ২০ রাকাত তারাবী 
 জামাত বদ্ধ হয়ে, হযরত ওবায়েব ইবনে কাব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর নেতৃত্বে তিনি আরম্ভ করেছিলেন সেটা আজ দেড় হাজার বছর চলছে কিয়ামত পর্যন্ত চলবে ইনশাআল্লাহ।
তাই আমাদের উচিত তাহলে অবশ্যই রমজানে তারাবির নামাজ আদায় করা। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
 من قام رمضان واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه
অর্থ, যে ব্যক্তি রাতের বেলা তারাবির নামাজ পড়বে,(রাত্রি জাগরণ করবে এবং কিয়ামুল লাইল করবে)

কিয়ামুল লাইল বলতে বিশেষ করে তারাবি : এবং তাহাজ্জুদ নামাজের কথা বলা হয়েছে। তাই আমাদের উচিত রমজানের দ্বিতীয় আমলের মধ্যে এই আমলটা ও বেশি বেশি করে করা।
(৩) তৃতীয় নম্বর হলো, রমজান মাসে  
সাধ্যমতো রোজাদারের কে,
 ইফতারি করানো/ইফতারের দাওয়াত দেওয়া। নবী করীম সাঃ বলেন কেউ যদি রোজাদারকে ইফতার করায় তাহলে সেই ব্যক্তিকে পূর্ণ রোজার সওয়াব দান করা হয়।
কিন্তু রোজাদারের কাছ থেকে কোন রকম সওয়াব কমতি করা হবে না। সাহাবীরা বললেন হে রাসূল আমরা গরিব মানুষ,তৃপ্তি সহকারে ইফতার করানোর সামর্থ্য আমাদের নেই।
এই উত্তরের নবী করীম সাল্লাহু সাল্লাম বলেন তোমরা যদি এক গ্লাস পানি অথবা একটা খেজুর দিয়েও কাউকে ইফতার করাতে পার, সেই রোজাদারের পুর্ণ সওয়াব আল্লাহ তোমাদেরকে দান করবেন। তাই আসুন রমজান মাস যেহেতু গুনাহ মাফের মাস সওয়াবের মাস তাই এই মাসে বেশি বেশি মানুষকে ইফতার করানো হোক সেটা একটি খেজুর অথবা এক গ্লাস পানি দ্বারা।
(৪) সামর্থ্য অনুযায়ী বা সাধ্যমত দান সদকা বাড়িয়ে দেওয়া বা বেশি বেশি দান করা।
فانز القربى حقه والمسكين وابن السبيل ذلك خير للذين يريدون وجه الله وأولئك هم المفلحون
আল্লাহপাক বলেন :  তোমরা যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করো তাহলে এতিম মিসকিন অসহায় ইবনে সাবিল মুসাফির যারা আছে তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দাও অবশ্যই মহান আল্লাহ তাদের সফলতা দান করবেন।।
তাই আসুন আমরা বেশি বেশি এই রমজানে সামর্থ্য অনুযায়ী দান করি।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে এই চারটি বিশেষ আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন 🤲


রমজানের রোজা না রাখার ভয়ংকর শাস্তি
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
কোন কারণ ছাড়া,কোন ওজর ছাড়া, কোন অসুস্থতা ছাড়া,রোজা ভেঙে ফেলার চিন্তা ও মাথায় আনা যাবে না।
হাদিসে বর্ণিত আছে :, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,আমি ঘুমিয়ে ছিলাম, স্বপ্নে আমার কাছে দুইজন লোক আসছে, এরপর আমার বাহু ধরসে ধরার পর আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, অতঃপর আমাকে একটা পাহাড়ের কাছে নিয়ে গিয়েছে, অতঃপর দুজন আমাকে বললেন এই পাহাড়ের উপর ওঠেন,
আমি (নবীজী) বললাম, না না আমি পারবো না।
আমি দুজন বললেন আপনি টেনশন কইরেন না পাহাড়ে ওঠা আমরা দুজন আপনার জন্য সহজ করে দেব।
নবী করীম সাঃ বলেন : অতপর আমি পাহাড়ে উঠলাম, অতঃপর যখন পাহাড়ের মাঝামাঝি বা সমতল জায়গায় গেলাম, সেখানে গিয়ে প্রচুর ভয়ংকর চিৎকার আওয়াজ শুনলাম।
আমি প্রশ্ন করলাম এগুলো কিসের আওয়াজ? শেষ দুইজন জবাব দিলেন এগুলো জাহান্নামীদের চিৎকারের আওয়াজ।
নবীজি বলেন এরপর আমাকে সামনের দিকে নিয়ে যায় যাইতে যাইতে হঠাৎ আমি একদল মানুষের সামনে গেলাম, তাদের দিকে তাকিয়ে দেখলাম,পা গুলো উপরের দিকে বাধা,
আর মাথা নিচে,দুই পাশের দুই গাল করাত দ্বারা চিরতেছে, চোয়াল সহ (গাল)থেকে রক্ত পড়ছে😭।
রাসুল বলেন আমি বললাম এগুলো কারা?
ফেরেশতারা জবাব দিলেন, হুজুরেরা তারা যারা, ইফতারের সময় হওয়ার আগেই ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভেঙে ফেলে।
তাহলে হাদিস থেকে বোঝা গেল,
ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা তো ভাঙ্গা যাবেই না, রোজা ভাঙার চিন্তা ও করা যাবে না।।
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে রমজানের সবগুলো রোজা সঠিকভাবে রাখার তৌফিক দান করেন আমিন 🤲


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url