রোজা সম্পর্কে আলোচনা roja-somporkhe-alochona
রোজর উদ্দেশ্য কি? এবং রোজা যেভাবে জীবনকে পরিবর্তন করে।
আসসালামুয়ালাইকুম আমরা সব সময় আমাদের ওয়েবসাইটে হাদিস পোস্ট করে থাকি আমাদের হাদিস গুলো যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিদিন ভিজিট করবেন এবং আমাদের হাদিসগুলো সবসময় পড়বেন এবং হাদিসগুলো পড়ে শেয়ার করে অন্যজনকে পড়ার সুযোগ করে দিবেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য
আমরা বেশিরভাগ মানুষ সারা জীবন রমজান মাসে রোজা রাখি, অনেকে আছি বয়স ৬০-৭০-৮০ বছর হয়ে গেছে প্রতিবছরই মাশাল্লাহ রোজা রাখি কিন্তু রোজাটা কেন রাখি বা কেন রাখেন সেই উদ্দেশ্যেই অনেকে জানেন না, বা আমরা জানি না,
আল্লাহ তালা পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন, তোমাদের উপর রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্বে যত জাতি এসেছে সবার উপরে রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে, আশা করা যায় এই সম্ভাবনা তৈরি হবে যে রোজা রাখলে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারবা, মুত্তাকী হতে পারবা।
তাকওয়া অর্জন করা আর মুত্তাকী হওয়ার অর্থ হলো, আল্লাহর ভয় থেকে আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আল্লাহর সকল আদেশ নিশেদ মেনে চলা এর নাম হল তাকওয়া আর রমজান আমরা রোজা রাখি মূলত এই তাকওয়া অর্জনের জন্যই, আর এই রমজান আমাদেরকে তাকওয়া শিখায়।
এখন প্রশ্ন হতে পারে যে রমজানের রোজা আমাদেরকে কিভাবে তাকওয়া শিখায়?
এই উত্তরে অনেকে অনেক কিছুই বলেছেন, কেউ বলেছেন যে আমরা রোজা রাখি আল্লাহকে খুশি করার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আল্লাহর দিদারের জন্য।
আর একজন বলেছেন আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য এই উত্তরগুলো সবই ঠিক, আছে কিন্তু এগুলো হলো রোজার দূরবর্তী উদ্দেশ্য।
রোজার ফজিলত
রোজার উদ্দেশ্য দুই রকমের আছে একটা হল দূরবর্তী উদ্দেশ্য আরেকটা নিকটতম উদ্দেশ্য, অর্থাৎ প্রাথমিক উদ্দেশ্য এবং চূড়ান্ত উদ্দেশ্য, যেমন আমরা বাসা থেকে বের হয়েছি হজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে, আর এমত অবস্থায় একটি প্রাইভেট কারে উঠেছি এয়ারপোর্ট যাওয়ার জন্য।
আর এমত অবস্থায় কেউ যদি আপনাকে প্রশ্ন করে ভাই কোথায় যাচ্ছেন তাহলে এখানে দুটি উত্তর হতে পারে,
এক নাম্বার উত্তর হল ভাই এয়ারপোর্ট যাচ্ছি ,
আর দুই নাম্বার উত্তর হল ভাই হজ্জে যাচ্ছি।
যদিও পাইভেট কারে হজ্জে যাওয়া সম্ভব নয় কিন্তু হজ্বে যাওয়ার জন্য প্রথম টার্গেট হলো এয়ারপোর্ট যেতে হবে আর দ্বিতীয় টার্গেট হজ্জে যাচ্ছি এটাই মূল উদ্দেশ্য।
আরে এই হজে যাওয়াটাই হচ্ছে মূল উদ্দেশ্য চূড়ান্ত টার্গেট। আর প্রথমে উদ্দেশ্য হলো এয়ারপোর্ট পর্যন্ত যাওয়া। ঠিক একই ভাবে রমজানের দুইটা উদ্দেশ্য আছে,
একটা হল প্রাথমিক উদ্দেশ্য,
রোজা ভাঙার কারণ
আর একটা হল চূড়ান্ত উদ্দেশ্য।
আর চূড়ান্ত উদ্দেশ্য কি চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হলো রমজানের রোজা রেখে তাকওয়া অর্জন করে মাধ্যমে আল্লাহকে খুশি করে জান্নাতে যাওয়া। আর এটাই হলো রোজার চূড়ান্ত উদ্দেশ্য বা ফাইনাল উদ্দেশ্য। এখন কথা হল আমরা যদি প্রথমত প্রাইভেট কার করে এয়ারপোর্ট যেতে না পারে তাহলে কিন্তু আমরা আমাদের উদ্দেশ্যে পৌঁছাতে পারবো না অর্থাৎ হজ্জে যেতে পারবো না।
তেমনি ভাবে রমজানের রোজা রাখার মাধ্যমে যদি তাকওয়া অর্জন করতে না পারি আল্লাহকে খুশি করতে না পারে তাহলে কিন্তু আমরা রোজার যে মূল উদ্দেশ্য সে উদ্দেশ্য কিন্তু হাসিল করতে পারবোনা আমি আপনি রোজা রাখছি কিন্তু তাকওয়া অর্জন করতে পারি নাই বা আল্লাহকে খুশি করতে পারে নাই তাহলে কিন্তু এই রোজার কোন মানেই হয় না,
আর রোজার যে উদ্দেশ্য সে উদ্দেশ্য হাছিল হবে না।
তাহলে এখন আমাদেরকে জানতে হবে কি করলে কিভাবে চললে আমাদের রোজার মূল উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে।
রোজার মূল উদ্দেশ্য পূর্ণ করতে হলে আমাদেরকে রোজার প্রাথমিক উদ্দেশ্য পূর্ণ করতে হবে তাহলে এই যে, গুনাহের কাজ ছাড়তে হবে আল্লাহর সকল আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে হবে।
রোজা রেখে সদা সত্য কথা বলতে হবে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবে না।
খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করা যাবে না।
অন্যের হক মেরে খাওয়া যাবে না।
চোখের হেফাজত করতে হবে।
চোখ দিয়ে অশ্লীল কিছু দেখা যাবেনা।
হাত দিয়ে খারাপ কিছু করা যাবে না।
রোজা রাখার উপকারিতা
আরে এগুলো যদি আমরা করতে পারি তাহলে বুঝতে হবে আমাদের মধ্যে আল্লাহর ভয় আছে আর এটার মাধ্যমেই অন্তরের ভিতর তাকওয়া সৃষ্টি হবে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হবে।
আর এরপর সারা মাস রোজা রাখার পর যদি আমাদের মনে হয় যে আমরা আসলেই এই রোজার উছিলায় একটা মাস নিজেদেরকে যাবতীয় অশ্লীল অথবা খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে পেরেছি তাহলে বুঝতে হবে এই রোজা আমাদের কাজে লেগেছে।
আমরা আমরা তো মনে করি যে রোজা মানে শুধু চারটা জিনিস
(১) রোজা থাকা
(২) ইফতার করা
(৩) তারাবি পড়া
(৪) সাহরী খাওয়া
আসলে কিন্তু তা নয় রোজার আরবি হলো সউমুন
অর্থ হলো বিরত থাকা
এর মানে হলো একমাত্র ভালো কাজ ছাড়া এবাদত বন্দেগি ছাড়া যাবতীয় গুনাহের কাজ অশ্লীলতা এগুলো থেকে বিরত থাকা রোজা থেকে যদি আমরা এগুলো থেকে বিরত থাকতে পারি তাহলে অবশ্যই আমাদের রোজার প্রথম উদ্দেশ্য হাসিল হবে আর প্রথম উদ্দেশ্য হাসিল হলে দ্বিতীয় উদ্দেশ্য অর্থাৎ আমাদের জন্য এমনি এমনি হাসিল হয়ে যাবে।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে রোজার উদ্দেশ্য হাসিল করে,
আমাদের জীবনকে পরিবর্তন করা এবং জান্নাতে যাওয়ার তৌফিক দান করেন আমিন।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url