১৩ শ্রেণীর লোকের নামাজ রোজা কিছুই কবুল হয় না। roja vangar dua

roja vangar dua

(১)একটা হলো ইফতারের পূর্বে আর তাহলে এই যে,
 আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আলা রিযক্বিকা,ওয়া আফতারতু,বিরাহমাতিকা,ইয়া আরহামার রহিমীন।

অর্থ, হে আল্লাহ আমি তোমারে সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি, এবং তোমারই দেয়া রিজিকের মধ্যে ইফতার করছি।

 (২)আর একটা ইফতারের পরেআর তাহলো এই যে,জাহাবাজ জমাউ, ওয়াবতাল্লাতিল উরুকু, ওয়াসাবাতাল আজরু, ইনশা-আল্লাহু তাআলা।

অর্থ পিপাসা দূরিভীত হইল,ও শিরাগুলি,ঠান্ডা হইয়া গেল, এবং নেকী সাব্যস্ত হইলো,ইনশাআল্লাহ।।আর এই দোয়াটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে করেছেন।

১৩ শ্রেণীর লোকের নামাজ রোজা কিছুই কবুল হয় না 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।সম্মানিত দ্বীনি ভাই ও বোনেরা, মহান আল্লাহ তাবারক ওয়া তাআলা, পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেন আমি মানুষ এবং জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার এবাদতের জন্য।তাই আমরা কিন্তু সকলেই অনেক এবাদত বন্দেগি করি কিন্তু জানিনা যে সে এবাদত বন্দেগী কবুল হচ্ছে কিনা, তাহলে আসুন জেনে নেই আমার আপনার এবাদত কবুল হচ্ছে কিনা।





১৩ জন ব্যক্তির নামাজ রোজা কোন কিছুই কবুল হয় না। আসুন আমরা জেনে নেই কারা সেই হতভাগা যারা সারা জীবন নামাজ রোজা হজ্জ যাকাত এগুলো আদায় করার পরেও তাদের কোন কিছুই কবুল হয় না।

(১) তার মধ্যে এক নাম্বার হল যারা 

     কুফুর এবং শিরিকের মধ্যে লিপ্ত

      আপনি নিজেকে মুসলমান দাবি করতেছেন অথচ আপনার মধ্যে কুফুর এবং শিরিকে ভরপুর,

  বা আপনার মধ্যে যদি শিরকে আকবর থাকে, বা কারো মধ্যে যদি শিরকে আকবর থাকে তাহলে সে ব্যক্তি ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায় অর্থাৎ ইসলাম থেকে বের হয়ে যা শুধু নামে মুসলমান থাকে।

আর এই ব্যক্তি যত ইবাদতই করুক না কেন, তার কোন এবাদত তো এই কবুল হবে না।

namaj hadis bangla

কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, যারা ঈমান আনার পর কুফুরি করে তার সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে,তার কোন আমল আল্লাহর কাছে কবুল হবে না,অনেক কষ্ট করে আমল করে যাবে কিন্তু আখেরাতে যেয়ে দেখবে সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে তার কিছুই আল্লাহর কাছে কবুল হয় নাই ।

তাহলে এখন আমাদের জানতে হবে যে কুফরি বা শিরক কি?

কুফরি/শিরক হলো, আল্লাহ পাকের বিধান কে অস্বীকার করা যে বিধানের বিষয়ে কুরআন এবং হাদিসে স্পষ্ট প্রমাণ আছে। অথবা আল্লাহর কোন আদেশ-নিষেধকে অস্বীকার করা।

অথবা কারো যদি সন্তানাদি না হয় আর সে যদি আল্লাহর কাছে সন্তান না চেয়ে কোন পীর দরবেশ কবিরাজ এদের কাছে গিয়ে বলে যে, বাবা আমার সন্তান হচ্ছে না আমাকে একটা সন্তান দাও।

অথবা কেউ যদি এক আল্লাহ কে ব্যতীত অন্য কাউকে সেজদা করে, তাহলেও তাহলেও এর দ্বারা বড় একটা শিরক বা কুফরী হবে।

আর এগুলো কেই বলা হয় শিরক বা, কুফরী। আর এই শিরক যে ব্যক্তির মধ্যে থাকবে সে যত ইবাদতই করুক না কেন কোন এবাদত কবুল হবে না।

হ্যাঁ এবাদত তখনই কবুল হবে যখন সে তার ভুল বুঝতে পারবে এবং অন্তর থেকে আল্লাহর কাছে তওবাতুন নাসুহা অর্থাৎ খাটি তওবা করবে যে হে আল্লাহ আমার ভুল হয়ে গেছে আমি বুঝতে পারিনি ক্ষমা করে দাও আমি আর জীবনে এই ধরনের কাজ করবো না আর আল্লাহ যদি তাকে ক্ষমা করে দেয় তাহলে সে ক্ষমা পাবে নয়তো তাকে জাহান্নামে যেতে হবে।

আল্লাহ আমাদেরকে শিরক ও কুফরী থেকে হেফাজত করেন আমিন।

(২) যারা তাকদীর কে অস্বীকার করে অর্থাৎ ভাগ্যকে অস্বীকার করে। যেমন 

কেউ যদি বলে ভাগ্যে যেটা আছে সেটাই হবে। আরে কথার উত্তরের যদি কেউ বলে আরে রাখ তোর ভাগ্য, ভাগ্যকে ভালো বানাইতে হবে আমার ভাগ্য আমি দেখবো তাহলে ও শিরক বা কুফরি হবে। কারণ ভাগ্যের ভালো-মন্দ সবকিছু আল্লাহর পক্ষ থেকে কি হয় আর এটাকে যে অস্বীকার করল সে আল্লাহর বিরোধিতা করলো।

আর এমন ব্যক্তির কোন এবাদত                 

       কবুল হবে না।

হাদিসের জিব্রিল এর মধ্যে বর্ণিত আছে জিব্রাইল আলাইহিস সালাম

এসে নবীকে বলেন ¿ ما الايمان

অর্থ,ঈমান কাকে বলে ঈমানের সংজ্ঞা বলুন?

উত্তরে নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন, ঈমান হলো, আল্লাহ, ফেরেশতাগণ, নবী-রাসূলগণ, আসমানী কিতাব সমূহ, আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস করা, এবং তাকদীরের অর্থাৎ ভাগ্যের ভালো মন্দের উপর বিশ্বাস করা। আল্লাহ আমাদেরকে, ভাগ্যের ভালো-মন্দ যা কিছু হয় সব আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, এই কথার প্রতি বিশ্বাস রাখার তৌফিক দান করেন আমিন।

(৩) পিতা মাতার নাফরমানি করা।

আমরা অনেকেই আছি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি রোজা রাখি হজ্জ করি যাকাত দেই সব কিছু করি কিন্তু পিতা-মাতার সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক নাই পিতা মাতার খোঁজ খবর রাখি না পিতা-মাতার প্রতি নারাজ। পিতা মাতা যদি আমাদেরকে সম্পদ থাকা সত্ত্বেও এক ইঞ্চি সম্পাদ ও 

না দেয়, তবুও পিতা-মাতার প্রতি নারাজ হওয়া যাবে না, কারণ যার যার হিসাব কেয়ামতের মাঠে শেষে দিবে, তাই আমার যা করণীয় সন্তান হিসেবে সেটা আমাকে করতেই হবে আর তা হলো পিতা মাতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তাদেরকে সেবা যত্ন করা তাদের খোঁজ খবর রাখা তাদের মনে কষ্ট না দেওয়া।

আল্লাহ পাক আমাদেরকে পিতা মাতার শ্রেষ্ঠ সন্তান হওয়ার তৌফিক দান করেন আমিন।  

(৪) ওই ব্যক্তির কোন এবাদতে কবুল হয় না

 ,যে ব্যক্তি দান করার পরে খোটা দেয়। আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেন নেককার মানুষ হলো তারা যারা আল্লাহর মোহাব্বতে মানুষকে খাবার দেয়, মিসকিনদেরকে দেয়, বন্দী কে দেয়, এবং বলে তারা তোমাদেরকে যা দিয়েছি আল্লাহর জন্য দিয়েছি তোমাদের কাছ থেকে প্রতিদানও আশা করি না এবং শিকারের ও আশা করি না।

namaj porar niom আমরা একটি হাদিস পোস্ট করব চাইলে ওইটা পড়তে পারেন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url